৩০ বছর পর শিরোপার আক্ষেপ ঘোচাল লিভারপুল
প্রিমিয়ার লিগে এক দুই করে প্রায় ত্রিশ বছর কেটে গেছে আরাধ্যে শিরোপার আশায়। শেষ পর্যন্ত কাংখিত সোনার হরিণের দেখা পেয়েছে লিভারপুল। বহুল প্রতিক্ষিত সেই শিরোপা পেয়ে খুশিতে আত্নহারা কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ খুজে পাচ্ছেনা আনন্দ প্রকাশের কোন ভাষা।
শিরোপা হাতে নিতে অবশ্য মাঠে নামতে হয়নি ইয়ুর্গেন শিষ্যদের। বৃহস্পতিবার চেলসির মাঠে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির হেরে যাওয়ায় সাত ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেছে লিভারপুলের ।
১৯৮৯-৯০ মৌসুমে সর্বশেষ লিগ জিতেছিল লিভারপুল। প্রায় তিন যোগ পর তাদের অপেক্ষার অবসান হল। ইংল্যান্ডে লিগে এটি তাদের ১৯তম এবং প্রিমিয়ার লিগ যুগে প্রথম শিরোপার স্বাদ পেল।
গুরু ক্লপ ও তার খেলোয়াড়রা শিরোপা উদযাপন করতে হয়েছে হোটেলে বসে। স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি ক্লপ। তবে আবেগের স্রোতের মধ্যেও ক্লাবের কিংবদন্তিদের কথা মনে পড়ল তার।
“আমি অভিভূত, কখনই ভাবতে পারিনি, এটির অনুভূতি এরকম। কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এটা অবিশ্বাস্য, যতটা সম্ভব ভেবেছিলাম, তার চেয়েও বেশি কিছু।”
“এই ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে পারা সত্যিই অবিশ্বাস্য। এটা কেনির (ডালগ্লিশ) জন্য, স্টিভির (স্টিভেন জেরার্ড) জন্য, এটা সবার জন্য।”
পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে লিভারপুলের শিরোপা আগেই নিশ্চিত হয়ে যেত। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারনে মাস তিনেক খেলা বন্ধ থাকার কারনে অপেক্ষা দীর্ঘ হয়েছে। একটা সময় মৌসুম বাতিল হওয়ার শঙ্কাও দেখা দিয়েছিল। যাহোক সব জল্পনা-কল্পনা ছাপিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করতে পারায় কোচের কন্ঠে ছিল স্বস্তির নিঃশ্বাস।
এটা স্বস্তির, কারণ তিন মাসের বিরতির পর কেউ জানত না মৌসুম কীভাবে ফিরবে। এটা (শিরোপা) সব সমর্থকের জন্য। আশা করি, তারা এটা উদযাপন করবে। আমাদের হৃদয় ও মস্তিষ্ক দিয়ে আমরা সবকিছুই করি একসঙ্গে। সমর্থকদের জন্য এমন কিছু করতে পারা দারুণ আনন্দের